রাত ১০টা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হল। আমি ও কামাল প্রধান ফটকের সামনে দাড়িয়ে কথা বলছি। হঠাৎ আমার পিঠে একটা মৃদু থাপ্পড় মারে কেউ। তাকিয়ে দেখি মনির। ওকে দেখে আমার ঠোঁটে একটা স্মিত হাসি খেলে যায়। এই সেই মনির! যার বেশ কিছু ঘটনা আমার এক বন্ধুর মুখে শুনেছি। যাই হোক, অনেকদিন পরে দেখা হল আমাদের। আমার হাসি দেখে ও বলে, কিরে হাসছিস যে? শুনলাম ভালই নাকি আয় করছিস। তোর তো অনেক ভক্ত স্টুডেন্টও আছে নাকি! আমি বলি, এই গাজাখুরি আপডেট তথ্য কোথা থেকে পেলি? ও বলে, তোর স্টুডেন্টের কাছেই শুনেছি। আমার পরিচিত একটা ছেলে তোর ক্লাশে আছে। আমি বলি, জনপ্রিয় কিনা সেটা স্টুডেন্টরাই ভাল বলতে পারবে। তবে টাকা যা পাই তাতে মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে। অবশ্য আমরা টাকা না পেলেও ইউসিসি কর্তৃপক্ষ কয়েক কোটি টাকা ঠিকই নিয়ে নিচ্ছে। তারপর বল, কোথা থেকে এত রাত্রে আগমন? ও বলে, এইতো হল থেকে আসলাম। খেতে যাচ্ছি। তুই খেয়েছিস? না, আমি বলি। ও বলে, চল তাইলে খেয়ে আসি। আমরা তিনজন হাটা শুরু করলাম। গন্তব্য- গাউসুল আজম মার্কেটের বিখ্যাত মামা হোটেল। নীলক্ষেত যাওয়ার পর কামাল বলে, আমার একটু কলাবাগান যেতে হবে। তোরা দুজনে খেয়ে নে। আমি ইতোমধ্যে খেয়েছি। কি আর করার! ওকে আমরা বিদায় দিলাম।মনির ও আমি বিখ্যাত মামা হোটেলে না বসে এটার পাশের হোটেল বিক্রমপুরে বসলাম। তার কারণ, মনির সবসময় এখানেই খায়। মামা হোটেলের প্রতি ওর বিশেষ অ্যালার্জি আছে। দুজনে গরুর মাংস দিয়ে খেতে বসলাম। আমাদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা চলে। ভার্সিটির রাজনীতির হালচাল, শেয়ারবাজার, কোচিং, টিউশনি, লেখাপড়া ইত্যাদি। খাওয়া শেষ করে আমরা আবার ভার্সিটির দিকে যাত্রা শুরু করি। স্যার এ এফ রহমান হলের পাশের মাঠটাতে সবুজ লম্বা ঘাসের উপর দুজনে বসি। উদ্দেশ্য- শেয়ার বাজার সম্পর্কে ওর কাছ থেকে কিছু পরামর্শ নেয়া। ও অনেক আগে থেকেই শেয়ার ব্যবসা করে। আর আমিও নামতে যাচ্ছি।